গ্রহরূপে পৃথিবী: WBBSE ক্লাস 9 ভূগোল ও পরিবেশ

গ্রহরূপে পৃথিবী wbbse.
Share with others

এখানে (chapter 1) গ্রহরূপে পৃথিবী: WBBSE ক্লাস ৯ ভূগোল ও পরিবেশ (Bhugol o Poribesh) (বাংলা মাধ্যম)-এর উত্তর, ব্যাখ্যা, সমাধান, নোট, অতিরিক্ত তথ্য, এমসিকিউ এবং পিডিএফ পাওয়া যাবে। নোটগুলো শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।

Select medium
English medium notes
Bengali medium notes

Register Login

সারাংশ (summary)

গ্রহরূপে পৃথিবী (Grahrupē Pr̥thibī): পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে মানুষের চিরন্তন কৌতূহল ছিল। প্রাচীনকালে মানুষ ভেবেছিল পৃথিবী চ্যাপটা রুটির মতো সমতল। কিন্তু পৃথিবী এত বড়ো যে আমরা খুব সামান্য অংশই দেখতে পাই, তাই মনে হয় যেন পৃথিবী সমতল। পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ ৬,৪০০ কিমি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে যে পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার। ১৯৬১ সালে ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মহাকাশচারী হিসাবে পৃথিবীকে ঘুরে আসেন এবং তাঁর দেখা পৃথিবী ছিল গোলাকার।

পৃথিবীর আকৃতি ঠিক গোল নয়, একটু চ্যাপটা। একে অভিগত গোলক বলে। উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা ফোলা। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ১২,৭৫৭ কিলোমিটার এবং মেরু ব্যাস ১২,৭১৪ কিলোমিটার। এই পার্থক্যের কারণ পৃথিবীর আবর্তন গতি। পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতিকে “জিয়ড” বলা হয়। পৃথিবীর উপরিতল পুরোপুরি মসৃণ নয়, এতে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি আছে। সমুদ্রের জলে ঢাকা থাকায় পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে নীল দেখায়। তাই পৃথিবীকে “নীল গ্রহ” বলা হয়।

পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির অনেক প্রমাণ আছে। যেমন, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে। সমুদ্রে জাহাজ দূরে যেতে থাকলে প্রথমে তার মাস্তুল দেখা যায়, তারপর ধীরে ধীরে পুরো জাহাজটি দেখা যায়। এগুলি পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর তুলনা করলে দেখা যায় পৃথিবী তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকেও পৃথিবী তৃতীয় স্থানে আছে। পৃথিবী হল একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে।

পৃথিবীর নীল দেখানোর কারণ হল এর বেশিরভাগ অংশই জলে ঢাকা। এটি মানুষের একমাত্র বাসস্থান। পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে প্রাচীন কাল থেকে বিজ্ঞানীরা নানা তত্ত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেছে মহাকাশ যুগে। পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির অনেক প্রমাণ আছে যা আধুনিক যুগে প্রমাণিত হয়েছে।

পাঠ্য প্রশ্ন ও উত্তর (Prantik textbook)

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো

১। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ—

(ক) বুধ
(খ) পৃথিবী
(গ) শুক্র
(ঘ) মঙ্গল

উত্তর: (ক) বুধ

২। পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ—

(ক) মঙ্গল
(খ) শুক্র
(গ) চাঁদ
(ঘ) বুধ

উত্তর: (খ) শুক্র

৩। পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের ঘুরতে সময় লাগে—

(ক) ২৭ দিন
(খ) ২৮ দিন
(গ) ২৯ দিন
(ঘ) ৩০ দিন

উত্তর: (ক) ২৭ দিন

৪। পৃথিবীর—

(ক) একটি
(খ) দুটি
(গ) নয়টি
(ঘ) তিনটি গতি আছে

উত্তর: (খ) দুটি

৫। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা—

(ক) ৮টি
(খ) ৯টি
(গ) ১০টি
(ঘ) ১১টি

উত্তর: (ক) ৮টি

৬। আয়তন অনুসারে পৃথিবী সৌরজগতের—

(ক) চতুর্থ
(খ) পঞ্চম
(গ) ষষ্ঠ
(ঘ) প্রথম গ্রহ

উত্তর: (খ) পঞ্চম

৭। ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে’ সর্বপ্রথম বলেছিলেন—

(ক) আর্যভট্ট
(খ) কোপারনিকাস
(গ) গ্যালিলিও
(ঘ) নিউটন

উত্তর: (খ) কোপারনিকাস

৮। ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এবং নিজের চারদিকে ঘোরে’ সর্বপ্রথম বলেছিলেন—

(ক) আর্যভট্ট
(খ) কোপারনিকাস
(গ) নিউটন
(ঘ) গ্যালিলিও

উত্তর: (ক) আর্যভট্ট

 ৯। পৃথিবীর আকৃতি –

(ক) কমলালেবুর মতো
(খ) নাসপাতির মতো
(গ) অভিগত গোলাকার
(ঘ) আপেলের মতো

উত্তর: গ. অভিগত গোলাকার 

১০। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস—

(ক) ১২,৭৪৬ কিমি
(খ) ১২,৭৫৬ কিমি
(গ) ১২,৭৬৬ কিমি
(ঘ) ১২,৭৭৬ কিমি

উত্তর: (খ) ১২,৭৫৬ কিমি

১১। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরু ব্যাস অপেক্ষা—

(ক) ৪২ কিমি
(খ) ৫২ কিমি
(গ) ৬২ কিমি
(ঘ) ৭২ কিমি স্ফীত

উত্তর: (ক) ৪২ কিমি

১২। প্লুটোকে বলে—

(ক) কুলীন গ্রহ
(খ) বামন গ্রহ
(গ) উপগ্রহ
(ঘ) নক্ষত্র

উত্তর: (খ) বামন গ্রহ

১৩। নীল গ্রহ বলা হয়—

(ক) পৃথিবীকে
(খ) মঙ্গলকে
(গ) বুধকে
(ঘ) শনিকে

উত্তর: (ক) পৃথিবীকে

১৪। সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ হল –

(ক) পৃথিবী
(খ) বৃহস্পতি
(গ) শনি
(ঘ) ইউরেনাস

উত্তর: (খ) বৃহস্পতি

১৫। দূরত্ব অনুসারে কোন গ্রহটি সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে?

(ক) বুধ
(খ) বৃহস্পতি
(গ) মঙ্গল
(স) ইউরেনাস

উত্তর: (স) ইউরেনাস

১৬। সূর্যের একেবারে ওপরের দিকে তাপমাত্রা হল—

(ক) ৫৮০০° সে
(খ) ৬৫০০° সে
(গ) ৭০০০° সে
(ঘ) ৮০০০° সে

উত্তর: (গ) ৭০০০° সে

১৭। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব—

(ক) ১০ কোটি কিমি
(খ) ১৬ কোটি কিমি
(গ) ১৮ কোটি কিমি
(ঘ) ১৯ কোটি কিমি

উত্তর: (খ) ১৬ কোটি কিমি 

১৮। টাইটান উপগ্রহ—

(ক) শনির
(খ) বৃহস্পতির
(গ) ইউরেনাসের
(ঘ) পৃথিবীর উপগ্রহ

উত্তর: (ক) শনির

১৯। উপকূলের দিকে আগত জাহাজের যে অংশ আগে দেখা যাবে তা হল—

(ক) মাস্তুল
(খ) ছাদ
(গ) তলদেশ
(ঘ) কোনোটাই নয়

উত্তর: (ক) মাস্তুল

২০। এরাটোসথেনিস ছিলেন—

(ক) রোমান
(খ) গ্রিক
(গ) মিশরীয়
(ঘ) ভারতীয় দার্শনিক

উত্তর: (খ) গ্রিক

২১। পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ –

(ক) ৫,৪০০ কিমি
(খ) ৬,৪০০ কিমি
(গ) ৭,৪০০ কিমি
(ঘ) ৮,৪০০ কিমি

উত্তর: (খ) ৬,৪০০ কিমি

২২। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখায়—

(ক) সবুজ
(খ) সাদা
(গ) নীল
(ঘ) লাল

উত্তর: (গ) নীল

বাক্যটি ‘সত্য’ হলে ‘ঠিক’ এবং ‘অসত্য’ হলে ‘ভুল’ লেখো

১. চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।

উত্তর: ঠিক

কারণ: পৃথিবীর কেবলমাত্র একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে, যা হল চাঁদ।

২. চাঁদ পৃথিবীর আলোয় আলোকিত।

উত্তর: ভুল

কারণ: চাঁদ নিজের কোনো আলো উৎপন্ন করে না। এটি সূর্য থেকে আলো প্রতিফলিত করে আলোকিত হয়। অন্যদিকে, পৃথিবী সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, কিন্তু চাঁদ সেই আলোয় আলোকিত হয় না।

৩. মঙ্গল পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ।

উত্তর: ভুল 

কারণ: পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ হল শুক্র।

৪. বৃহস্পতি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। 

উত্তর: ঠিক

কারণ: বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ।

৫. নক্ষত্রগুলির নিজস্ব আলো নেই। 

উত্তর: ভুল

কারণ: নক্ষত্রগুলি নিজস্ব আলো উৎপন্ন করে।

৬. সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ। 

উত্তর: ঠিক

কারণ: সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব সবচেয়ে কম।

৭. পৃথিবীর আকৃতি উপবৃত্তাকার। 

উত্তর: ঠিক

কারণ: পৃথিবী একটি অভিগত গোলক, যা উপবৃত্তাকার।

৮. সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবী তৃতীয় গ্রহ। 

উত্তর: ঠিক

কারণ: সূর্য থেকে দূরত্বের ক্রমানুসারে পৃথিবী তৃতীয় গ্রহ।

৯. পৃথিবীর দুটি গতি আছে। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: পৃথিবীর আবর্তন ও পরিক্রমণ নামে দুটি গতি রয়েছে।

১০. একমাত্র পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: বর্তমানে জ্ঞাত অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

১১. গ্রহ এরিসের দুটি উপগ্রহ রয়েছে। 

উত্তর: ভুল 

কারণ: এরিস একটি বামন গ্রহ এবং এর কোনো উপগ্রহ নেই।

১২. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৪ কোটি ৯৫ লক্ষ কিমি। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৪ কোটি ৯৫ লক্ষ কিমি।

১৩. প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর উৎপত্তি হয় বলে অনুমান। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে পৃথিবীর উৎপত্তি প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে হয়েছিল।

১৪. পৃথিবী গোল বলে সমুদ্রগামী জাহাজকে কিছুক্ষণ পরে আর দেখতে পাই না। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির কারণে দূরে যাওয়ার সাথে সাথে জাহাজ দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়।

১৫. খ্রিস্ট জন্মের ৩০০ বছর আগে এরাটোসথেনিস বলেছিলেন যে পৃথিবী গোল। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: এরাটোসথেনিস প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত যিনি পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি সম্পর্কে জানতেন।

১৬. যত উপর থেকে দেখা যাবে দিগন্তরেখা তত বেড়ে যাবে। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে দৃশ্যমান দিগন্তরেখার পরিধি বেড়ে যায়।

১৭. চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর গোলাকার ছায়া চাঁদের উপর পড়ে।

১৮. পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীরই মতো। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: পৃথিবীর আকৃতি একটি অভিগত গোলক (Geoid)।

১৯. নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবী ৪৩ কিমি স্ফীত। 

উত্তর: ঠিক 

কারণ: পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল মেরু অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা স্ফীত।

২০. পৃথিবীর মেরু ব্যাসের দৈর্ঘ্য ১২,৭৫৬ কিমি। 

উত্তর: ভুল 

কারণ: পৃথিবীর মেরু ব্যাসের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২,৭১৪ কিমি।

উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো

১. শনি ছাড়া সৌরজগতের আরও তিনটি গ্রহের বলয় আছে। এরা হল- ______, ______ ও ______।

উত্তর: বৃহস্পতি, ইউরেনাস, নেপচুন

২. ______গ্রহের একদিন এক বছরের থেকে বড়ো অর্থাৎ এই গ্রহটির পরিক্রমণের চেয়ে আবর্তনের সময় বেশি। 

উত্তর: শুক্র

৩. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ ______।

উত্তর: বৃহস্পতি

৪. ______ও শুক্রের কোনো উপগ্রহ নেই

উত্তর: বুধ

৫. পৃথিবীর আকৃতি ______গোলকের মতো।

উত্তর: অভিগত

৬. সূর্য থেকে দূরত্বের বিচারে আমাদের পৃথিবী ______ নম্বরে আছে।

উত্তর: ৩

৭. সর্বপ্রথম পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন ______।

উত্তর: এরাটোসথেনিস

৮. পৃথিবীর নিজের চারদিকে আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকেও পরিক্রমণ করে —এ কথা প্রমাণ করেছিলেন ______।

উত্তর: কোপারনিকাস

৯. পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবনধারণের উপযুক্ত ______ বজায় রয়েছে।

উত্তর: পরিবেশ 

১০. সূর্য ______ গ্যালাক্সির অন্তর্গত।

উত্তর: মিল্কিওয়ে

১১. পৃথিবীর বাইরে থেকে যে সকল কঠিন বস্তু বায়ুমণ্ডলের বাধা পেরিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছোয় সেগুলিকে ______ বলে।

উত্তর: উল্কা

১২. পৃথিবী ______ গ্রহ নামে পরিচিত।

উত্তর: নীল

১৩. বিজ্ঞানী ______ প্রথম Geoid শব্দটি ব্যবহার করেন।

উত্তর: লিস্টিং

১৪.______ ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ।

উত্তর: আর্যভট্ট

১৫.______ ও ______ সূর্যের প্রধান উপাদান ।

উত্তর: হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম

স্তম্ভ মেলাও

(ক)

বাঁদিক ডানদিক
১। প্লুটো(i) গ্রহ
২। ইউরেনাস(ii) বামন গ্রহ
৩। চাঁদ(iii) ধূমকেতু
৪। হেলবপ(iv) উপগ্রহ

উত্তর:-

বাঁদিকডানদিক
১। প্লুটো(i) বামন গ্রহ
২। ইউরেনাস(ii) গ্রহ
৩। চাঁদ(iii) উপগ্রহ
৪। হেলবপ(iv) ধূমকেতু

(খ)

বাঁদিকডানদিক
১। পৃথিবী(i) গ্যানিমিড
২। বৃহস্পতি(ii) ফোবোস
৩। মঙ্গল(iii) টাইটান
৪। শনি(iv) চাঁদ

উত্তর:-

বাঁদিকডানদিক
১। পৃথিবী(i) চাঁদ
২। বৃহস্পতি(ii) গ্যানিমিড
৩। মঙ্গল(iii) ফোবোস
৪। শনি(iv) টাইটান
দু-এক কথায় উত্তর দাও

১। জ্যোতিষ্ক বলতে কী বোঝ?

উত্তর: জ্যোতিষ্ক হল সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র, যা মহাবিশ্বের অন্তর্গত আলোকিত বস্তু।

২। সৌরজগতে ক-টি গ্রহ আছে ও কী কী?

উত্তর: সৌরজগতে মোট ৮টি গ্রহ আছে। এগুলি হল—বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।

৩। সূর্যের সবচেয়ে কাছের ও সবচেয়ে দূরের গ্রহ কী কী?

উত্তর: সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হল বুধ এবং সবচেয়ে দূরের গ্রহ হল নেপচুন।

৪। পৃথিবীর নিকটতম ও দূরতম গ্রহের নাম লেখো।

উত্তর: পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ হল শুক্র এবং দূরতম গ্রহ হল নেপচুন।

৫। পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের গড় দূরত্ব কত?

উত্তর: পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার এবং সূর্যের গড় দূরত্ব প্রায় ১৪ কোটি ৯৫ লক্ষ কিলোমিটার।

৬। মঙ্গলের দুটি উপগ্রহের নাম লেখো?

উত্তর: মঙ্গলের দুটি উপগ্রহের নাম হল ফোবোস ও ডিমোস।

এ। বৃহস্পতি ও শনির একটি করে উপগ্রহের নাম লেখো।

উত্তর: বৃহস্পতির একটি উপগ্রহ হল গ্যানিমিড এবং শনির একটি উপগ্রহ হল টাইটান।

৮। সূর্যকে ক-টি অংশে ভাগ করা যায়?

উত্তর: সূর্যকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

৯। পৃথিবীর পরিধি এবং ভূপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল কত?

উত্তর: পৃথিবীর বৃহত্তম পরিধি হল ৪০,০৭৭ কিলোমিটার এবং পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল হল ৫১ কোটি ১ লক্ষ ৯৩৪ বর্গ কিলোমিটার।

১o সৌরজগতে প্লুটোর বর্তমান যোগাযোগ কত?

উত্তর: প্লুটোকে বর্তমানে বামন গ্রহ (Dwarf Planet) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

১১ জিয়ড কী?

উত্তর: জিয়ড হল পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি, যা পৃথিবীরই মতো।

১২। প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারীর নাম কী?

উত্তর: প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারীর নাম রাকেশ শর্মা।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো

১ .গ্রহ কী?

উত্তর: গ্রহ হল সূর্যের চারদিকে ঘুর্ণায়মান বস্তু, যা নিজের আলো থেকে না থাকলেও সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল দেখায়।

২ . উপগ্রহ কাকে বলে?

উত্তর: উপগ্রহ হল সেইসব বস্তু যা গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এরা নিজেদের আলো দেয় না, বরং গ্রহ থেকে আলো প্রতিফলিত করে। উদাহরণস্বরূপ, চাঁদ হল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।

৩ . গ্রহাণুপুঞ্জ কী?

উত্তর: গ্রহাণুপুঞ্জ হল সৌরজগতের ছোট বস্তুগুলি যা প্লুটোর মতো কক্ষপথে অবস্থিত।

. দিগন্ত রেখা কী?

উত্তর: দিগন্ত রেখা হল সমুদ্র বা বিশাল প্রান্তরের ধারে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে যে রেখা দেখা যায়, যেখানে জলরাশি বা ভূমি এবং আকাশ একটি বৃত্তরেখায় মিশে যায়।

৫ . GPS বলতে কী বোঝ?

উত্তর: GPS হল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System), যা বিশ্বের অবস্থান নির্ণয় করার পদ্ধতি। পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে দূর সংবেদনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হয়।

৬ . আয়তনে গ্রহদের চেয়ে ছোটো হলেও চাঁদকে আমরা অত বড়ো দেখি কেন?

উত্তর: আয়তনে গ্রহদের চেয়ে ছোটো হলেও চাঁদকে আমরা অত বড়ো দেখি কারণ চাঁদ পৃথিবীর থেকে অনেক কাছে অবস্থিত। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখা যায় সাদা ও নীল রঙের একটি মণ্ডলের মতো, কিন্তু চাঁদ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ ছোটো বলে পৃথিবী থেকে চাঁদকে যত ছোটো দেখায়।

৭ . মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখায়?

উত্তর: মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে উজ্জ্বল নীল গোলকের মতো দেখায়। এটি অনেকটা পেয়ারার মতো আকৃতির বলে মনে হয়। চাঁদ থেকে দেখা গেছে যে, পৃথিবী ঘোর কালো মহাকাশের পটভূমিতে সাদা ও নীল রঙের একটি মণ্ডলের মতো দেখায়।

৮ . ন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী ব্যক্তিবর্গ ও মহাকাশযানের নাম লেখো

উত্তর: চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী ব্যক্তিবর্গ হলেন নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অ্যালড্রিন। তাঁরা ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ ব্যবহার করে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেন।

৯ .  চাঁদ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখতে লাগে?

উত্তর: চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীকে দেখতে গোলাকৃতি ও মণ্ডলাকার দেখায়। এটি সাদা ও নীল রঙের একটি মণ্ডলের মতো দেখায়, যা আকৃতিতে পৃথিবী থেকে দেখা চাঁদের আকৃতির চেয়ে অনেক বড়ো।

১০ . কোন্ গ্রহকে ‘নীল গ্রহ’ বলে এবং কেন?

উত্তর: পৃথিবীকে ‘নীল গ্রহ’ বলে। পৃথিবীর উপরিভাগের বেশিরভাগ অংশই (পৃথিবীর ৪ ভাগের ৩ ভাগ অংশ জলভাগ) সমুদ্রের জলে ঢাকা, তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল রঙের দেখায়।

১১ . পৃথিবীর মেরুব্যাস ও নিরক্ষীয় ব্যাস এক নয় কেন?

উত্তর: পৃথিবীর আকৃতি ঠিক গোলাকার নয়, বরং পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম দিক কিছুটা ফোলা। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস (১২,৭৫৭ কিলোমিটার) এবং মেরু ব্যাসের (১২,৭১৪ কিলোমিটার) মধ্যে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পার্থক্য রয়েছে। এই কারণে পৃথিবীর মেরুব্যাস ও নিরক্ষীয় ব্যাস এক নয়।

১২ . পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্থানগুলি কী কী?

উত্তর: পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান হল হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার) এবং সর্বনিম্ন স্থান হল প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর সমুদ্রতলে অবস্থিত মারিয়ানা খাত (গভীরতা ১১,০০০ মিটারের বেশি)।

সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো

.  ম্যাগেলান কে ছিলেন? কীভাবে তিনি প্রমাণ করেন যে পৃথিবী গোলাকার?

উত্তর: ম্যাগেলান একজন ভূপর্যটক ছিলেন। তিনি কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে দিকপরিবর্তন না করে জাহাজ চালিয়ে ভূপ্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে আসেন। এই ভূপ্রদক্ষিণের মাধ্যমেই তিনি প্রমাণ করেন যে, পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার।

২ .  দিগন্ত রেখা কেন সব সময় গোলাকার মনে হয়?

উত্তর: দিগন্ত রেখা সবসময় গোলাকার মনে হয় কারণ পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার। সমুদ্র বা বিশাল প্রান্তরের ধারে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে মনে হয় জলরাশি বা ভূমি এবং আকাশ যেন একটি বৃত্তরেখায় মিশে গিয়েছে। যত উপর থেকে দেখা যায়, দিগন্ত রেখার পরিধি তত বেড়ে যায়, যা পৃথিবীর গোলাকৃতির জন্যেই ঘটে।

৩ . মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর আকৃতি কেমন দেখায়? অথবা পৃথিবীর গোলাকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাও

উত্তর: মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর আকৃতি একটি প্রায় গোলাকার বস্তুর মতো দেখায়। পৃথিবীর গোলাকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ হলো মহাশূন্যচারীদের দেখা এবং মহাশূন্য থেকে তোলা ছবিগুলো, যেখানে পৃথিবী একটি গোলাকৃতির জ্যামিতিক আকৃতি প্রদর্শন করে।

৪ . পৃথিবী কি সত্যিই পুরোপুরি গোল? অথবা, পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরু ব্যাসের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণ কী? অথবা, ‘পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের ন্যায়’—উক্তিটির সত্যতা যাচাই করো

উত্তর: পৃথিবী সত্যিই পুরোপুরি গোল নয়। পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরু ব্যাসের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণ হল পৃথিবীর আবর্তন গতি। এই গতির ফলে পৃথিবীর মধ্যভাগে কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে নিরক্ষীয় অঞ্চলটি কিছুটা ফোলা হয়ে উঠেছে।

পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের ন্যায়’—এই উক্তিটি সত্য, কারণ পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম দিক কিছুটা ফোলা। এই আকৃতিকে অভিগত গোলক বা উপগোলক (Oblate spheroid) বলা হয়।

সত্যতা যাচাই: পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ১২,৭৫৭ কিলোমিটার এবং মেরু ব্যাস ১২,৭১৪ কিলোমিটার। এদের মধ্যে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পার্থক্য রয়েছে, যা পৃথিবীর অভিগত গোলকত্বের প্রমাণ দেয়।

৫ .পাহাড়-পর্বত, নদী, সাগর থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীকে সমতল দেখি কেন?

উত্তর: পাহাড়-পর্বত, নদী, সাগর থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীকে সমতল দেখার কারণ হল পৃথিবীর বিশাল আকার। পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ ৬,৪০০ কিমি, এত বড়ো ব্যাসার্ধের একটা বৃত্তের ওপর দাঁড়িয়ে এর খুব সামান্য অংশই আমাদের চোখে পড়ে। তাই ভূপৃষ্ঠটা চ্যাপটা সমতল বলেই মনে হয়।

রচনাধর্মী প্রশ্ন

১ . নক্ষত্র বলতে কী বোঝ লেখো

উত্তর: নক্ষত্র হল সূর্যের মতো আলো ও তাপ বিকিরণকারী জ্যোতিষ্ক। এগুলি প্রচণ্ড উষ্ণ গ্যাসের গোলক, যা নিজস্ব আলো উৎপন্ন করে থাকে। নক্ষত্রগুলি মহাকাশে অবস্থিত এবং তাদের নিজস্ব আলো থাকায় তারা অন্ধকার আকাশে ঝলমল করে। নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা ও আকার বিভিন্ন হয় এবং এরা প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে গঠিত। নক্ষত্রের মধ্যে নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন হিলিয়ামে পরিণত হয়, যা প্রচুর আলো ও তাপ উৎপন্ন করে। এই আলো ও তাপ আমরা পৃথিবী থেকে দেখতে পাই।

২ . কুলীন গ্রহকাকে বলে, উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর: যেসব জ্যোতিষ্কের মধ্যে গ্রহের সব বৈশিষ্ট্য থাকে তাদের কুলীন গ্রহ বলে। উদাহরণস্বরূপ, প্লুটো ছাড়া বাকি ৮টি গ্রহকে কুলীন গ্রহ বলা হয়। এই গ্রহগুলি হল—বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। এই গ্রহগুলি নিজেদের কক্ষপথে অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে সক্ষম।

৩ . বামন গ্রহ কাকে বলে, উদাহরণসহ লেখো

উত্তর: বামন গ্রহ হল সেই গ্রহ, যা তার নিজের কক্ষপথে অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে না। এই ধরনের গ্রহ তার কক্ষপথে আসা অন্য কোনো বড় বস্তুকে প্রভাবিত করতে বা অপসারণ করতে সমর্থ হয় না।

একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল প্লুটো। প্লুটোকে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (IAU) বামন গ্রহ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। প্লুটো তার কক্ষপথে অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে না, তাই এটি বামন গ্রহ হিসেবে পরিচিত।

সৌরজগতে বামন গ্রহের ধারণা গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে।

৪ . গ্রহদের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে

উত্তর: গ্রহদের সৃষ্টি সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা নমনীয় বস্তুর আবর্তনের ফলে হয়েছে। এই আবর্তনের ফলে কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির উদ্ভব হয়, যা বস্তুটিকে মধ্যভাগে স্ফীত এবং প্রান্তদেশে চাপা করে। এইভাবে গ্রহগুলি তাদের যে মেরুরেখার চারদিকে আবর্তন করে তার প্রান্তদেশ কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ কিছুটা ফোলা হয়ে গোলাকৃতি লাভ করেছে।

৫. শুক্রগ্রহ সম্পর্কে যা জান লেখো

উত্তর: শুক্রগ্রহ হল সূর্য থেকে দ্বিতীয় গ্রহ। এটি পৃথিবীর প্রায় সমান মাপের। এর সূর্য থেকে দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। মহাকাশ থেকে এই গ্রহকে উজ্জ্বল দেখায়, তাই এটি পৃথিবী থেকে খুব সহজে দেখা যায়। এটি পৃথিবীর তুলনায় আকারে ০.৯৪৯ অনুপাতে ছোটো। শুক্রের কোনো উপগ্রহ নেই। এর আবর্তনের সময় ২৪৩ দিন এবং পরিক্রমণের সময় ২২৫ দিন।

৬ . বৃহস্পতি গ্রহের বর্ণনা দাও

উত্তর: বৃহস্পতি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। এর ব্যাসার্ধ প্রায় ৭১,৪৯২ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১১.২ গুণ বড়ো। বৃহস্পতিকে ঘিরে লাল, হলুদ, খয়েরি প্রভৃতি নানান রঙের বলয় দেখা যায়। এই গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা প্রায় ৬৭টি। বৃহস্পতি আবর্তনের সময় প্রায় ৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এবং পরিক্রমণের সময় প্রায় ১২ বছর নেয়। সূর্য থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার।

৭ . মঙ্গল গ্রহের বিবরণ দাও

উত্তর: মঙ্গল হল সৌরজগতের একটি গ্রহ যা পৃথিবীর তুলনায় প্রায় অর্ধেক আকারের। এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহগুলির মধ্যে একটি। মঙ্গলের উপরিভাগে প্রচুর ফেরাস অক্সাইড (লোহা) থাকায় মহাকাশ থেকে এই গ্রহকে লাল রঙের দেখায়, তাই একে ‘লাল গ্রহ’ বলে। মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ রয়েছে—ফোবোস ও ডেইমস। এই গ্রহের আবর্তনের সময় ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট এবং পরিক্রমণের সময় ৬৮৭ দিন। মঙ্গলের তুলনায় পৃথিবী প্রায় দ্বিগুণ বড়ো।

৮ . শনি গ্রহের বিবরণ দাও?

উত্তর: শনি হল সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এটি সূর্য থেকে ষষ্ঠ গ্রহ। শনির চারদিকে ধূলিকণা, বরফ এবং পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি ৭টি উজ্জ্বল বলয় আছে। এই গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা ৫৩টি। শনির আবর্তনের সময় প্রায় ১০ ঘণ্টা এবং পরিক্রমণের সময় ২৯ বছর ৬ মাস। পৃথিবীর তুলনায় শনি প্রায় ৪ গুণ বড়ো। এর ব্যাসার্ধ হল ৬০,২৬৮ কিলোমিটার।

৯ . পৃথিবীর অভিগত গোলত্বের প্রমাণ দাও ?

উত্তর: পৃথিবীর অভিগত গোলত্বের প্রমাণ হল নিম্নরূপ:

  • পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস (১২,৭৫৭ কিলোমিটার) এবং মেরু ব্যাসের (১২,৭১৪ কিলোমিটার) মধ্যে দৈর্ঘ্যের পার্থক্য প্রায় ৪৩ কিলোমিটার। এই পার্থক্য থেকে জানা যায় যে, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা ফোলা।
  • পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে গোলাকার পৃথিবীর মধ্যভাগ ফোলা এবং মেরু অঞ্চল সামান্য চাপা হয়। এটি অভিগত গোলকের অন্যতম অপ্রত্যক্ষ প্রমাণ।
  • নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র অনুসারে, যে বস্তু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে যত দূর অবস্থিত, তার উপর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব তত কম। একই বস্তুকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে এবং মেরু অঞ্চলে ওজন করলে দেখা যায় যে, বস্তুটির মেরু অঞ্চলে যে ওজন হয়, নিরক্ষীয় অঞ্চলে তার তুলনায় খানিকটা কম। এতে প্রমাণিত হয় যে, নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবী খানিকটা ফোলা।
  • পৃথিবীর আকৃতি ঠিক গোলাকার নয়, বরং পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা ফোলা। পৃথিবীর আকৃতি তাই অনেকটা অভিগত গোলকের মতো।
  • পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ ৬,৪০০ কিমি এবং এত বড়ো ব্যাসার্ধের একটা বৃত্তের খুব সামান্য অংশই আমাদের চোখে পড়ে। এই জন্য পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের ন্যায় বলে ধরা হয়।

১০ . পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীরমতোই’বলার কারণকী ?

উত্তর: পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতোই বলার কারণ হল, পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি অন্য কোনো আকৃতির সঙ্গে মিলানো যায় না। পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো হলেও পৃথিবীকে একটি আদর্শ অভিগত গোলক বলা যায় না। কারণ সমুদ্রতল, পাহাড়-পর্বত এবং মালভূমি ভূপৃষ্ঠকে উঁচুনীচু, ঢেউখেলানো এবং বন্ধুর রূপ দান করেছে। পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতিকে ইংরেজিতে ‘জিয়ড’ (Geoid) বলা হয়, যার অর্থ হল ‘পৃথিবীর মতো’।

অতিরিক্ত (Extras)

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQs)

coming soon

প্রশ্ন ও উত্তর (Questions, Answers)

coming soon

Get notes of other boards, classes, and subjects

NBSESEBA/AHSEC
NCERTTBSE
WBBSE/WBCHSEICSE/ISC
BSEM/COHSEMMBOSE
Custom Notes ServiceQuestion papers

Share with others

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Only registered users are allowed to copy.