মানচিত্র ও স্কেল: WBBSE ক্লাস 9 ভূগোল ও পরিবেশ (Bhugol o Poribesh)

মানচিত্র ও স্কেল wbbse
Share with others

এখানে (chapter 9) মানচিত্র ও স্কেল: WBBSE ক্লাস ৯ ভূগোল ও পরিবেশ (Bhugol o Poribesh) (বাংলা মাধ্যম)-এর উত্তর, ব্যাখ্যা, সমাধান, নোট, অতিরিক্ত তথ্য, এমসিকিউ এবং পিডিএফ পাওয়া যাবে। নোটগুলো শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।

Select medium
English medium notes
Bengali medium notes

Register Login

সারাংশ (summary)

ভূগোল পড়ার জন্য আমাদের পৃথিবী আর তার ভিতরের নানা দেশ, মহাদেশ, সাগর এইসব ভালোভাবে জানতে হয়। গ্লোব আর মানচিত্র এই কাজে আমাদের সাহায্য করে।

গ্লোব হল পৃথিবীর একটা ছোটো মডেল, যা দেখতে গোল। এটা দেখলে আমরা বিভিন্ন দেশের আকার বুঝতে পারি, কিন্তু খুব বেশি কিছু জানতে পারি না বা ছোটো জায়গা ভালোভাবে দেখা যায় না। এই অসুবিধা দূর করে মানচিত্র।

মানচিত্র হল কাগজ বা অন্য কোনো সমান জিনিসের ওপর আঁকা পুরো পৃথিবী বা তার কোনো একটা অংশের ছবি। এতে নানা সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে অনেক কিছু বোঝানো হয়, যেমন – কোনো জায়গার প্রকৃতি কেমন, কোথায় অবস্থিত, আবহাওয়া কী রকম, কোথায় কত লোক বাস করে ইত্যাদি। মানচিত্র ছোটো জায়গা, যেমন একটা শহর, বা খুব বড়ো জায়গা, যেমন একটা মহাদেশ বা পুরো পৃথিবীরও হতে পারে। মানচিত্র আঁকার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়, যাকে বলে মানচিত্র অভিক্ষেপ (Map Projection), আর এই বিদ্যাকে বলে মানচিত্রবিদ্যা (Cartography)। মানচিত্র বানানোর নানা উপায় আছে, যেমন – জমি মেপে, আকাশ থেকে ছবি তুলে, বা স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি দিয়ে।

মানচিত্রের একটা জরুরি জিনিস হল স্কেল। স্কেল মানে হল, মানচিত্রে দেখানো দূরত্ব আর আসল দূরত্বের মধ্যে একটা মাপের সম্পর্ক। যেমন, মানচিত্রের ১ সেন্টিমিটার দূরত্ব আসলে মাটির ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। স্কেল ছাড়া মানচিত্র আঁকা যায় না বা তার কোনো মানে থাকে না। স্কেল অনুযায়ী মানচিত্র নানা রকম হয় – ছোটো স্কেলের মানচিত্র (যেখানে অনেক বড়ো জায়গা ছোটো করে দেখানো হয়, যেমন পৃথিবীর মানচিত্র), মাঝারি স্কেলের মানচিত্র (যেমন টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র) আর বড়ো স্কেলের মানচিত্র (যেখানে ছোটো জায়গা খুব খুঁটিনাটি সহ দেখানো হয়, যেমন মৌজা মানচিত্র)।

এছাড়াও বিষয় অনুযায়ী মানচিত্র নানা রকমের হয়, যেমন – প্রাকৃতিক মানচিত্র (পাহাড়, নদী দেখায়), রাজনৈতিক মানচিত্র (দেশ, রাজ্যের সীমা দেখায়), বা কোনো বিশেষ বিষয় দেখানোর জন্য থিম্যাটিক মানচিত্র (যেমন জনসংখ্যার বন্টন)। মানচিত্র আমাদের নানা কাজে লাগে, যেমন – পড়াশোনায়, বেড়াতে গেলে, পরিকল্পনা করতে বা কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে। মানচিত্র আর স্কেল একে অপরের সাথে জুড়ে আছে, একটা ছাড়া অন্যটা ভাবা যায় না। এই অধ্যায়ের নাম মানচিত্র ও স্কেল (Manchitro o Scale)।

পাঠ্য প্রশ্ন ও উত্তর (Prantik textbook)

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো

১. প্রধানত-(ক) তিনটি (খ) চারটি (গ) পাঁচটি (ঘ) ছ-টি পদ্ধতিতে মানচিত্র আঁকা হয়।

(ক) তিনটি
(খ) চারটি
(গ) পাঁচটি
(ঘ) ছ-টি

উত্তর: গ. পাঁচটি

২. মানচিত্রে প্রধানত-(ক) দুই (খ) তিন (গ) চার (ঘ) পাঁচ প্রকারের স্কেল দেখানো হয়

(ক) দুই
(খ) তিন
(গ) চার
(ঘ) পাঁচ

উত্তর: খ. তিন

৩. মানচিত্রের একক ১ সেন্টিমিটারে যদি ভূপৃষ্ঠে ১০০ সেন্টিমিটার হয় তবে তার মাপনী হবে—(ক) ১ : ১০ (খ) ১ : ১০০ (গ) ১ : ১০০০ (ঘ) ১ : ১০০০০

(ক) ১ : ১০
(খ) ১ : ১০০
(গ) ১ : ১০০০
(ঘ) ১ : ১০০০০

উত্তর: খ. ১ : ১০০

৪. মাপনির বিভিন্নতা অনুসারে মানচিত্রকে—(ক) তিনটি (খ) চারটি (গ) পাঁচটি (ঘ) ছ-টি ভাগে ভাগ করা হয়

(ক) তিনটি
(খ) চারটি
(গ) পাঁচটি
(ঘ) ছ-টি

উত্তর: ক. তিনটি

৫. উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে প্রধানত-(ক) দশটি (খ) বারোটি (গ) চোদ্দোটি (ঘ) ষোলোটি ভাগে ভাগ করা হয়

(ক) দশটি
(খ) বারোটি
(গ) চোদ্দোটি
(ঘ) ষোলোটি

উত্তর: খ. বারোটি

৬. স্কেলকে-(ক) দুটি (খ) তিনটি (গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে

(ক) দুটি
(খ) তিনটি
(গ) চারটি
(ঘ) পাঁচটি

উত্তর: খ. তিনটি

বাক্যটি ‘সত্য’ হলে ‘ঠিক’ এবং ‘অসত্য’ হলে ‘ভুল’ লেখো

১. মানচিত্রের কাঠামো তৈরি হয় স্কেল অনুসারে।

উত্তর: ঠিক

কারণ: কোনো জায়গার সঠিক স্কেল অনুসারে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার দ্বারা রচিত ভূজালকের বিন্যাসকে ভিত্তি করেই মানচিত্রের কাঠামো তৈরি করা হয়ে থাকে।

২. মাত্র একটি পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: ভূপৃষ্ঠের মানচিত্র প্রস্তুত করার একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন – জরিপ করে, বিমান থেকে তোলা আলোকচিত্র ব্যবহার করে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দূর-সংবেদী প্রতিরূপের মাধ্যমে, কম্পিউটারের সাহায্যে এবং হাতে এঁকে।

৩. কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে নেওয়া দূর-সংবেদী প্রতিরূপ থেকেও মানচিত্র তৈরি হয়।

উত্তর: ঠিক

কারণ: মানচিত্র তৈরির একটি পদ্ধতি হলো কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া দূর-সংবেদী প্রতিরূপ ব্যবহার করা।

৪. মানচিত্র বড়ো স্কেলের এবং ছোটো স্কেলের হতে পারে।

উত্তর: ঠিক

কারণ: স্কেল অনুসারে মানচিত্রকে ক্ষুদ্র স্কেল, মাঝারি স্কেল এবং বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র – এই ভাগে ভাগ করা হয়।

৫. মানচিত্রে প্রধানত দুইভাবে স্কেল দেখানো হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: মানচিত্রে স্কেল প্রধানত তিনটি রূপে দেখানো বা প্রকাশ করা হয় – বিবৃতিমূলক স্কেল, ভগ্নাংশসূচক স্কেল এবং রৈখিক স্কেল।

৬. মানচিত্রে ১ সেন্টিমিটার যদি ভূপৃষ্ঠে ১০০ সেন্টিমিটার হয় তবে তার মাপনী হয় ১ : ১১০০।

উত্তর: ভুল

কারণ: মানচিত্রে ১ সেমি দূরত্ব যদি ভূপৃষ্ঠের ১০০ সেমি দূরত্বের সমান হয়, তবে তার মাপনী বা ভগ্নাংশসূচক স্কেল হবে ১ : ১০০।

৭. মাপনীর বিভিন্নতা অনুযায়ী মানচিত্রকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: মাপনীর বা স্কেলের বিভিন্নতা অনুযায়ী মানচিত্রকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় – ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র, মাঝারি স্কেল মানচিত্র এবং বৃহৎ স্কেল মানচিত্র।

৮. স্কেল তিনটি পদ্ধতিতে আঁকা হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: স্কেল প্রধানত তিন প্রকারে প্রকাশ করা হয় (বিবৃতিমূলক, ভগ্নাংশসূচক, রৈখিক), কিন্তু এর মধ্যে শুধুমাত্র রৈখিক স্কেলকেই লেখচিত্র বা রেখার মাধ্যমে এঁকে দেখানো হয়। অন্য দুটি পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করা হয়।

৯. স্কেলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি হয়।

উত্তর: ঠিক

কারণ: স্কেলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, এর দৈর্ঘ্য সাধারণত চার থেকে ছয় ইঞ্চি হয়ে থাকে।

১০. ভারতের জরিপ বিভাগ ব্রিটিশ মডেল অনুসরণ করে ১ : ১,০০০,০০০; ১ : ২৫০,০০০ এবং ১:৫০,০০০ মাপনী ব্যবহার করে টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র তৈরি হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: ভারতীয় জরিপ দপ্তর (Survey of India) কর্তৃক প্রস্তুত টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের স্কেল সাধারণত ১ : ৫০,০০০ থেকে ১ : ২,৫০,০০০ পর্যন্ত হয় এবং ইদানীং ১ : ২৫,০০০ স্কেলের মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। পাঠ্যাংশে ১:১,০০০,০০০ স্কেলের উল্লেখ টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের প্রসঙ্গে নেই।

১১. জনগণনা সংক্রান্ত মানচিত্রগুচ্ছ প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনার পর প্রকাশিত হয়।

উত্তর: ভুল

কারণ: পাঠ্যাংশে জনসংখ্যা বিষয়ক মানচিত্রের উল্লেখ থাকলেও, জনগণনা সংক্রান্ত মানচিত্র প্রতি দশ বছর অন্তর প্রকাশিত হয় কিনা, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া নেই।

১২. মানচিত্র হল ভূগোলচর্চার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

উত্তর: ঠিক

কারণ: মানচিত্রকে ভূগোলচর্চার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বা উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো

১. মানচিত্রে সাধারণত ______ ভাবে স্কেল দেখানো হয়।

উত্তর: দুই

২. ______ ‘Bengal in Maps’ নামে একটি অ্যাটলাস প্রকাশ করেন।

উত্তর: অধ্যাপক শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

৩. ______ = মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্ব / ভূপৃষ্ঠে ওই স্থান দুটির প্রকৃত দূরত্ব

উত্তর: ভগ্নাংশসূচক স্কেল (RF)

৪. ______ কর্পোরেশনের পৌর ওয়ার্ডের মানচিত্র বড়ো স্কেল অনুসারে তৈরি।

উত্তর: মৌজা মানচিত্র

স্তম্ভ মেলাও
বামদিকডানদিক
১। সাংস্কৃতিক① ভূ-অভ্যন্তরের শিলার স্তরবিন্যাস
২। স্কেলের দৈর্ঘ্য② ১/৪ ইঞ্চিতে ১ মাইল
৩। টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র③ ৪-৬ ইঞ্চি
৪। ভূতাত্ত্বিক④ কেমন ভূমিরূপ

উত্তর:

বামদিকডানদিক
১। সাংস্কৃতিক② ১/৪ ইঞ্চিতে ১ মাইল
২। স্কেলের দৈর্ঘ্য③ ৪-৬ ইঞ্চি
৩। টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র④ কেমন ভূমিরূপ
৪। ভূতাত্ত্বিক① ভূ-অভ্যন্তরের শিলার স্তরবিন্যাস
দু-এক কথায় উত্তর দাও

১। মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর: মানচিত্র হল সমগ্র পৃথিবী বা পৃথিবীর কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দ্বিমাত্রিক উপস্থাপনা, যা একটি সমতল কাগজের ওপর নির্দিষ্ট স্কেলে আঁকা হয়। মানচিত্র থেকে সমগ্র পৃথিবী বা পৃথিবীর ছোটো একটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া যায়।

২। স্কেল কাকে বলে?

উত্তর: স্কেল হল মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমিভাগের দূরত্বের অনুপাত। ভূগোলে স্কেল বলতে মানচিত্রের স্কেলকেই বোঝায়, যা মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে ওই দুটি স্থানের প্রকৃত দূরত্বের অনুপাত হিসাবে প্রকাশ করা হয়।

৩। সাংস্কৃতিক মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর: সাংস্কৃতিক মানচিত্র হল সেইসব বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র যা মানুষের কার্যকলাপ বা সৃষ্টি সম্পর্কিত বিষয়, যেমন – রাজনৈতিক সীমানা, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ, জনসংখ্যার বণ্টন, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা ইত্যাদি দেখায়।

৪। রাজনৈতিক মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর: আন্তর্জাতিক সীমানা, অঙ্গরাজ্যের সীমানা বা জেলার সীমানা বা প্রশাসনিক বিভাজন দেখানোর জন্য রাজনৈতিক মানচিত্র আঁকা হয়। এই ধরনের মানচিত্রে দেশ বা রাজ্যের রাজধানী, জেলা সদর, গুরুত্বপূর্ণ নগর, বন্দর প্রভৃতি দেখানো হয়।

৫। আবহাওয়া মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর: আবহাওয়া মানচিত্র হল এক ধরনের বিষয়ভিত্তিক বা প্রাকৃতিক মানচিত্র যা আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন উপাদান, যেমন বৃষ্টিপাত, বায়ুর উষ্ণতা ও চাপ ইত্যাদি দেখায়। সমমানরেখা মানচিত্র (Isopleth Map) এই ধরনের মানচিত্র তৈরির একটি উদাহরণ। আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই মানচিত্রের ব্যবহার জরুরি।

সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো

১. মানচিত্র অঙ্কনের পদ্ধতিগুলো লেখো।

উত্তর: বিভিন্ন পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়: ① বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে জরিপ করে মানচিত্র তৈরি করা হয়ে থাকে; ② বিমান থেকে নেওয়া আলোকচিত্র থেকে স্টিরিয়োস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে ত্রিমাত্রিক দৃশ্যপটকে দ্বিমাত্রিকে পরিণত করে মানচিত্র আঁকা যায়; ③ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে নেওয়া দূর-সংবেদী প্রতিরূপ থেকেও মানচিত্র তৈরি করা হয়; ④ কম্পিউটারে তথ্য সরবরাহ করে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের সাহায্যে আজকাল মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। ⑤ এ ছাড়া হাতে আঁকা মানচিত্র তো আছেই, যা শিল্পীর মুনশিয়ানার পরিচয় বহন করে। তবে এ জাতীয় মানচিত্রে স্কেল নির্ভুল হয় না।

২. মানচিত্রে কীভাবে স্কেল দেখানো হয়?

উত্তর: স্কেলের সাহায্যে পৃথিবীর কোনো জায়গার প্রকৃত আয়তন মানচিত্রে তার চেয়ে অনেক ছোটো করে একটা সুনির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী দেখানো হয়। স্কেল হল মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমিভাগের দূরত্বের অনুপাত। স্কেলকে ইঞ্চি, সেন্টিমিটার, বা অন্য কোনো এককের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। স্কেলকে প্রধানত তিন ভাবে প্রকাশ করা হয়: বিবৃতিমূলক স্কেল হিসাবে, যেখানে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে মানচিত্রে স্কেলকে প্রকাশ করা হয়; ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF হিসাবে, যেখানে মানচিত্রের দূরত্ব এবং ভূমিভাগের দূরত্বকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হয়; এবং লৈখিক স্কেল হিসাবে, যেখানে স্কেলকে লেখচিত্রের (Graph) সাহায্যে বা সরলরেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

৩. মাপনী অনুসারে মানচিত্রকে ক-টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উত্তর: স্কেল অনুসারে মানচিত্রকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগগুলি হল:
(i) ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র
(ii) মাঝারি স্কেল মানচিত্র
(iii) বৃহৎ স্কেলে মানচিত্র

৪. উদ্দেশ্য বা বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে ক-টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উত্তর: উদ্দেশ্য বা বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে প্রধানত তথ্যভিত্তিক মানচিত্র হিসাবে ভাগ করা যায়, যার দুটি প্রধান প্রকার হল:
১. প্রাকৃতিক মানচিত্র: এর মধ্যে পড়ে ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র, ভূ-প্রাকৃতিক মানচিত্র, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক মানচিত্র, মৃত্তিকা মানচিত্র, স্বাভাবিক উদ্ভিদ মানচিত্র, নদনদীর মানচিত্র ইত্যাদি।
২. সাংস্কৃতিক মানচিত্র: এর মধ্যে পড়ে রাজনৈতিক মানচিত্র, অর্থনৈতিক মানচিত্র, বণ্টন মানচিত্র, জনসংখ্যা মানচিত্র, ভূমি ব্যবহার মানচিত্র, যোগাযোগ ও পরিবহণ বিষয়ক মানচিত্র ইত্যাদি।
এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক মানচিত্রের মধ্যে সমমানরেখা মানচিত্র (Isopleth Map) ও সমঘনত্বমূলক মানচিত্র (Choropleth Map) উল্লেখযোগ্য।

৫. স্কেল ক-প্রকার ও কী কী?

উত্তর: মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে স্কেলকে প্রধান তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল:

১. বিবৃতিমূলক স্কেল (Statement Scale/Verval Statement Scale)
২. ভগ্নাংশসূচক স্কেল (Representative Fraction বা RF)
৩. লৈখিক স্কেল (Graphical Scale), যার আবার কয়েকটি উপবিভাগ আছে যেমন রৈখিক স্কেল, তুলনামূলক স্কেল, ভার্নিয়ার স্কেল এবং ডায়াগোনাল স্কেল।

৬. স্কেলের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো।

উত্তর: স্কেলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

① স্কেলের দৈর্ঘ্য সাধারণত চার থেকে ছয় ইঞ্চি হয় বলে একটি পূর্ণসংখ্যা (round number) অনুমান করে তাকে ৪ ইঞ্চি বা ৬ ইঞ্চির মধ্যে ধরাতে হয়।
② স্কেল দ্বারা এমন একটি সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করা সুবিধাজনক, যাকে ১০ সংখ্যাটির গুণিতকে প্রকাশ করা সম্ভব।
③ স্কেলের ভাগগুলিকে দু-ভাবে দেখানো যেতে পারে : (i) স্কেলের মোট দৈর্ঘ্যের পুরোটাই বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা এবং (ii) স্কেলকে প্রথমে কয়েকটি প্রাথমিক ভাগে বিভক্ত করা এবং প্রথম প্রাথমিক অংশটিকে ক্ষুদ্রতর দ্বিতীয় পর্যায়ের ভাগে বিভক্ত করা। সঠিক মাপ বোঝাতে দ্বিতীয়টির কার্যকারিতা বেশি।

৭. বিশেষ ধরনের স্কেলগুলোর উল্লেখ করো।

উত্তর: বিশেষ ধরনের স্কেলগুলি হল:

① টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে দেওয়া সমোচ্চ রেখাগুলিকে স্কেলে ফেলে আঁকতে হলে দু-ধরনের স্কেল বানাতে হয় : (i) অনুভূমিক স্কেল (Horizontal Scale) এবং (ii) উল্লম্ব স্কেল (Vertical Scale)।
② এ ছাড়াও আছে বর্গমূল স্কেল (Square root Scale)।
③ ঘনমূল স্কেল (Cube root Scale)।
④ বায়বীয় আলোকচিত্রের (Aerial Photo) জন্য এক ধরনের উল্লম্ব স্কেল প্রভৃতি।

৮. স্কেলের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখো।

উত্তর: স্কেলের গুরুত্ব:

① দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ও দূরত্বের ধারণা দিতে স্কেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
② ভূমির মাপ এবং কাগজে আঁকা মানচিত্রের মাপ সমানুপাতিক না হলে দুটি বিন্দুর মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধান রাখা যায় না। তাই মানচিত্রের আকার ও আকৃতির ক্ষেত্রে ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে। সঠিক স্কেল নির্বাচন করতে না-পারলে একই আকারের কাগজে পৃথিবীর মানচিত্র, কোনো মহাদেশের বা দেশের অথবা তার কোনো অঞ্চলের মানচিত্র আঁকা সম্ভব হত না। স্কেলের গুরুত্ব বুঝতে পারা তাই ভূগোলবিদ হতে পারার অন্যতম শর্ত। কখন ‘ছোটো স্কেল’ আর কখন ‘বড়ো স্কেল’ ব্যবহার করতে হবে তা আগে থেকে ঠিক করা দরকার।

স্কেলের ব্যবহার:

① অনুভূমিক স্কেল ও উল্লম্ব স্কেল ব্যবহার করতে না-জানলে কোন্ স্থান কত উঁচু বোঝা যাবে না।
② ডায়াগোনাল স্কেলের মাপ নেওয়া না-শিখলে অভিক্ষেপ তৈরি করা যায় না।
③ ভার্নিয়ার স্কেলের মাপ না-বুঝলে জমি জরিপ করা যায় না।
④ একক বর্জিত RF scale না-জানলে সারা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে গ্রহণযোগ্য মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব নয়।
⑤ পরিকল্পনার জন্য নকশা আঁকতেও স্কেলের দরকার হয়। স্কেলের ব্যবহার তাই বহুমুখী।

রচনাধর্মী প্রশ্ন

১. মাপনী অনুসারে বিভক্ত মানচিত্রগুলোর বিবরণ দাও।

উত্তর: স্কেল ও মানচিত্রের মধ্যে যে সম্পর্ক তা সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় এই বিভাগে। স্কেল অনুসারে মানচিত্রকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

(i) ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র: অনেক বড়ো কোনো অঞ্চলকে ছোটো করে দেখানোর জন্য ক্ষুদ্র স্কেলে মানচিত্র আঁকা হয়। পৃথিবী, কোনো দেশ বা মহাদেশের মানচিত্র, অ্যাটলাস মানচিত্র, দেয়াল মানচিত্র ইত্যাদি হল এরকম মানচিত্রের উদাহরণ। এই মানচিত্রের স্কেল শুরু হল ১ : ১০,০০,০০০। এই মানচিত্রে কোনো বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না।
(ii) মাঝারি স্কেল মানচিত্র: কোনো বড়ো অঞ্চলকে একাধিক বিভাগে ভাগ করে দেখানোর জন্য মাঝারি স্কেলে মানচিত্র আঁকা হয়। যেমন: টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র। এর স্কেল হয় ১ : ৫০,০০০ থেকে ১ : ১০,০০,০০০-এর মধ্যে। এই মানচিত্রে কিছুটা বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়।
(iii) বৃহৎ স্কেলে মানচিত্র: কোনো অঞ্চলকে বিশদে দেখার জন্য বৃহৎ স্কেলে মানচিত্র আঁকা হয়। এই স্কেলের মান সাধারণত ১ : ৫০,০০০-এর থেকে কম হয়। মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map) হল এর উদাহরণ।

২. উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে বিভক্ত মানচিত্রগুলোর বিবরণ দাও।

উত্তর: উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে মানচিত্রকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন:

  • টোপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ বা ভুবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র: যে মানচিত্রের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের নিখুঁত বর্ণনা করা যায়, তাকে বলে টোপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ বা ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ছোটো অঞ্চলকে বড়ো এবং বিশদভাবে দেখানো। ভূপৃষ্ঠের নানান বৈশিষ্ট্য, যেমন ভূমির উচ্চতার তারতম্য, নদী-নালার গতিপথ, ভূমি ব্যবহারের প্রকৃতি, জলাশয়, অরণ্য ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের ধরন ও অবস্থান, জনবসতি, সড়ক ও রেলপথের বিন্যাস, প্রশাসনিক কার্যালয়, রাজনৈতিক সীমানা প্রভৃতি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি এই মানচিত্রে প্রতীক চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়।
  • মৌজা মানচিত্র বা ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ: এই জাতীয় মানচিত্র আঁকার উদ্দেশ্য হল ভূমিকেন্দ্রিক সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ ও তার দৃশ্যগ্রাহ্য দলিল তৈরি করা। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে ভূমিরাজস্ব ও অন্যান্য কর আদায়ের জন্য এ জাতীয় মানচিত্র তৈরি করানো হয়। জমিকে বিভিন্ন প্লট বা দাগনম্বরে বিভক্ত করে এই মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়। নগর পরিকল্পনা মানচিত্রকেও এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
  • রাজনৈতিক মানচিত্র বা পলিটিক্যাল ম্যাপ: আন্তর্জাতিক সীমানা, অঙ্গরাজ্যের সীমানা বা জেলার সীমানা বা প্রশাসনিক বিভাজন দেখানোর জন্য রাজনৈতিক মানচিত্র আঁকা হয়। এই ধরনের মানচিত্রে দেশ বা রাজ্যের রাজধানী, জেলা সদর, গুরুত্বপূর্ণ নগর, বন্দর প্রভৃতি দেখানো হয়।
  • দেয়াল মানচিত্র: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এই ধরনের মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সারা পৃথিবী, কোনো মহাদেশ বা দেশ অথবা কোনো অঙ্গরাজ্য সম্বন্ধে তথ্য সংবলিত করে এই জাতীয় মানচিত্র তৈরি হয়।
  • অ্যাটলাস মানচিত্র: এই ধরনের মানচিত্রগুলি খুব ছোটো স্কেলে আঁকা হয়। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রশাসনিক বিভাগ, সম্পদের বণ্টন, ভৌগোলিক আঞ্চলিকীকরণ প্রভৃতি দেখানোর জন্য এই ধরনের মানচিত্র তৈরি ও ব্যবহার করা হয়। ভূ-প্রকৃতির বিভিন্নতা, উচ্চতার তারতম্য প্রভৃতি বোঝানোর জন্য এইসব মানচিত্রে রঙের ব্যবহার করা হয়। জায়গার সীমাবদ্ধতার জন্য এইসব মানচিত্রে কেবলমাত্র প্রধান পর্বতশ্রেণি, গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ, নদী, শহর ও সড়ক-রেলপথ ইত্যাদি দেখানো হয়।
  • বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (Thematic map): এই ধরনের মানচিত্রে একটি ভৌগোলিক উপাদানকে পারস্পরিক তুলনার সাপেক্ষে নির্ণয় করে, মানচিত্রে দেখানো হয়। যে মানচিত্রে একাধিক ভৌগোলিক উপাদানের পরিবর্তে কেবলমাত্র একটি প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট উপাদানের বণ্টনের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কোনো সড়কপথ, দেশের বা অঞ্চলের ধান, চা চাষের বণ্টন, খনিজ বণ্টন, শিল্পের অবস্থান, জনসংখ্যার বণ্টন, পরিবহণ ব্যবস্থা প্রভৃতি ভৌগোলিক উপাদান সমূহ পৃথক পৃথক ভাবে মানচিত্রে অঙ্কন করা হলে এক-একটি মানচিত্রকে বিষয়ানুগ মানচিত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর মধ্যে পড়ে:
    • প্রাকৃতিক মানচিত্র: যেমন – ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র, ভূ-প্রাকৃতিক মানচিত্র, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক মানচিত্র, মৃত্তিকা মানচিত্র, স্বাভাবিক উদ্ভিদ মানচিত্র, নদনদীর মানচিত্র।
    • সাংস্কৃতিক মানচিত্র: যেমন – রাজনৈতিক মানচিত্র, অর্থনৈতিক মানচিত্র, বণ্টন মানচিত্র, জনসংখ্যা মানচিত্র, ভূমি ব্যবহার মানচিত্র, যোগাযোগ ও পরিবহণ বিষয়ক মানচিত্র।
    • সমমানরেখা মানচিত্র (Isopleth Map): সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত বায়ুর উষুতা ও চাপ, ভূমির উচ্চতা প্রভৃতিকে একই রেখায় যুক্ত করে এই ধরনের মানচিত্র তৈরি করা হয়।
    • সমঘনত্বমূলক মানচিত্র (Choropleth Map): উল্লম্ব, অনুভূমিক ও হেলানো রেখাসমষ্টি ব্যবহার করে এবং তাদের ঘনত্ব বাড়িয়ে-কমিয়ে জনসংখ্যা প্রভৃতির ঘনত্ব দেখানো হয়।

৩. মানচিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখো।

উত্তর: মানচিত্রের গুরুত্ব:

মানচিত্র হল ভূগোলচর্চার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বা উপকরণ। বিজ্ঞানের অন্য কোনো শাখা মানচিত্রের ওপর এতটা নির্ভরশীল নয়, তবে প্রয়োজনে তাঁদেরও মানচিত্র ব্যবহার করতে হয়।

① ঘরে বসে মানচিত্রে নজর বুলিয়ে আলাদা আলাদা নানা তথ্য দেখে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বুঝে নেওয়া যায়।
② স্থানভেদে ভূপ্রকৃতি বা জনবসতির কী কী আঞ্চলিক তারতম্য ঘটছে বা কোথায় গ্রাম, আর কোথায় কোন্ শহরের অবস্থান-এসবই মানচিত্র দেখে ধারণা করে নেওয়া যায়।
③ দূরবর্তী কোনো জায়গায় যেতে হলে মানচিত্রের সাহায্যে জায়গাটিকে খুঁজে বার করা যায়।
④ টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের মাধ্যমে যে-কোনো অঞ্চলের ভূমিরূপ, নদনদীর গতিপথ, জলাশয় ও অরণ্যের অবস্থান, জনবসতির বা যে-কোনো পথের বিন্যাস সম্বন্ধে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়।

মানচিত্রের ব্যবহার:

① ভূগোলের শিক্ষার্থী, পর্যটক, জরিপকারী, পরিকল্পনাবিদ ও যে-কোনো ধরনের গাড়ির চালকের পক্ষে মানচিত্র অপরিহার্য।
② আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানচিত্রের ব্যবহার জরুরি।
③ আন্তর্জাতিক বা প্রশাসনিক সীমারেখার পরিবর্তন হলে তা মানচিত্রের মাধ্যমেই দেখানো যায়।
④ জনসংখ্যা ও উৎপাদন সংক্রান্ত সময়ভিত্তিক মানচিত্র চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে আঞ্চলিক ও কালগত বৈষম্য বুঝতে সাহায্য করে। তাই মনে রাখতে হবে মানচিত্র কখনোই স্থান ও কাল নিরপেক্ষ নয়।
⑤ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজে মানচিত্রের ব্যবহার আবশ্যিক।
⑥ কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো তথ্য মানচিত্রেই সন্নিবেশিত হয়।

এছাড়াও, টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র কোনো অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি, পাহাড়, মালভূমি, নদনদী, জলাশয়, হ্রদ, বনভূমি ইত্যাদি নানান প্রাকৃতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে, জনবসতি, যাতায়াত বা পরিবহণ ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পর্কে জানতে, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা সম্পর্কে জানতে এবং কোনো অঞ্চলের সম্পদের বর্ণনা, আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য, সামরিক প্রয়োজন ইত্যাদি কারণেও ব্যবহৃত হয়।

অতিরিক্ত (Extras)

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQs)

Coming soon

প্রশ্ন ও উত্তর (Questions, Answers)

Coming soon

Get notes of other boards, classes, and subjects

NBSESEBA/AHSEC
NCERTTBSE
WBBSE/WBCHSEICSE/ISC
BSEM/COHSEMMBOSE
Custom Notes ServiceQuestion papers

Share with others

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Only registered users are allowed to copy.